রাজশাহীর বাঘায় স্কুলে যাওয়ার পথে বাসচাপায় বাবা জাহেদুল ইসলাম শান্ত (৩০) নিহত হয়েছেন। মেয়ে উম্মে তুরাইয়ার (৫) পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মা জেসমিন আক্তার (২৭) গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার বানিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জাহেদুল ইসলাম শান্ত স্ত্রী-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। তারা বাঘা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের বাঘা পৌরসভার বানিয়াপাড়া নামক স্থানে পৌঁছলে বাঘা থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী সুপার সনি নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় বাবা-মেয়ে বাসের নিচে চাপা পড়েন। এতে বাবা ও মেয়ের শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় শান্তর স্ত্রী আহত হয়েছেন।
বাবা-মেয়েকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে বাবা জাহেদুল ইসলাম শান্তর অবস্থা অবনতি হলে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে জাহেদুল ইসলাম শান্তর আত্মীয় আবিদ হাসান বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জাহেদুল ইসলাম শান্ত মারা গেছেন। তার মেয়ে উম্মে তুরাইয়া ও স্ত্রী জেসমিন আক্তার রামেকের আর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। মেয়ে উম্মে তুরাইয়ার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তার জন্য এ পজেটিভ রক্তের প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।
এ ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে বাসটি পুলিশ জব্দ করে থানায় নিয়ে যান। শান্ত ইসলাম কিছুদিন আগে মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে দেশে এসেছেন। মেয়ে গ্রিন হেভেন স্কুলের প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফম আছাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল গিয়ে বাবা, মেয়ে ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তাদের মধ্যে বাবা বিকালে মারা গেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বাসটি জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে।